লালন শাহ এর গান এস হে অপারের কাণ্ডারি- নিয়ে আজকের আয়োজন।
Table of Contents
এমন মানবজনম আর কি হবে
এস হে অপারের কাণ্ডারি।
পড়েছি অকূল পাথারে দাও আমায় চরণতরী ॥
প্রাপ্ত পথ ভুলে হে এবার
ভবরোগে জ্বলবো কত আর
তুমি নিজগুণে শ্রীচরণ দাও
তবে কূল পেতে পারি ॥
ছিলাম কোথা এলাম হেথা
আবার আমি যাই যেন কোথা
তুমি মনোরথের সারথি হয়ে
স্বদেশে নাও মনেরি ॥
পতিতপাবন নাম তোমার সাঁই
পাপী তাপী তাইতে দেই দোহাই
লালন ভনে তোমা বিনে
ভরসা কারে করি ॥

লালনের ঠাকুর পরিবারের সাথে সম্পর্ক
কিন্তু এই ঠাকুরদের সঙ্গে লালনের একবার সংঘর্ষ ঘটে। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কুষ্টিয়ার কুমারখালির কাঙাল হরিনাথ মজুমদার গ্রামবার্তা প্রকাশিকা নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করতেন। এরই একটি সংখ্যায় ঠাকুর-জমিদারদের প্রজাপীড়নের সংবাদ ও তথ্য প্রকাশের সূত্র ধরে উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মকর্তারা বিষয়টির তদন্তে প্রত্যক্ষ অনুসন্ধানে আসেন।
এতে করে কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের উপর বেজায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ঠাকুর-জমিদারেরা। তাঁকে শায়েস্তা করার উদ্দেশ্যে লাঠিয়াল পাঠালে শিষ্যদের নিয়ে লালন সশস্ত্রভাবে জমিদারের লাঠিয়ালদের মোকাবিলা করেন এবং লাঠিয়াল বাহিনী পালিয়ে যায়। এর পর থেকে কাঙাল হরিনাথকে বিভিন্নভাবে রক্ষা করেছেন লালন।
লালনের জীবদ্দশায় তার একমাত্র স্কেচটি তৈরী করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভ্রাতা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। লালনের মৃত্যুর বছরখানেক আগে ৫ মে ১৮৮৯ সালে পদ্মায় তার বোটে বসিয়ে তিনি এই পেন্সিল স্কেচটি করেন- যা ভারতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। যদিও অনেকের দাবী এই স্কেচটিতে লালনের আসল চেহারা ফুটে ওঠেনি।
আরও দেখুন :