কিরণ চন্দ্র রায়ের গান নিয়ে আজকের আয়োজন।কিরণ চন্দ্র রায় একজন বাংলাদেশী বাউল লোকশিল্পী। ১৯৯৭ সালে তিনি দুখাই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পুরুষ প্লেব্যাক গায়কের জন্য বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস শ্রেষ্ঠ গায়ক পুরস্কার জিতেন।[১][২] তিনি একজন গীতিকার ও সঙ্গীত সুরকারও।[৩]
Table of Contents
কিরণ চন্দ্র রায়ের গানঃ
রায় ১৪ বছর ধরে খন্দকার নুরুল আলমের কাছে সঙ্গীতের আনুষ্ঠানিক তালিম নেন।[৪][১] তিনি প্রথম বাংলাদেশ ফোকলোর ওয়ার্কশপে অংশ নেন। তিনি ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন।[৪]
২০০৫ সাল পর্যন্ত কিরণ ১৫টি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন এবং ২০টির বেশি ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন।[৩]
এ বড় আজব কুদরতি
এ বড় আজব কুদরতি
আঠার মোকামের মাঝে
জ্বলছে একটি রূপের বাতি
কিবা রে কুদরতি খেলা
জলের মাঝে অগ্নি-জ্বালা
খবর জানতে হয় নিরালা
নীরে ক্ষীরে আছে জ্যোতি
ফণিমনি লাল জহরে
সে বাতি রেখেছে ঘিরে
তিন সময় তিন যোগ সেই ঘরে
যে জানে সে মহারতি
থাকতে বাতি উজালাময়
দেখতে যার বাসনা হৃদয়
লালন কয়, কখন কোন সময়
অন্ধকার হবে বসতি
ধান্দাবাজের ধোঁকায় পড়ে
ধান্ধাবাজের ধোঁকায় পড়ে।
আন্দাজে করলে সাধন,
কোন সাধনে মিলবে রে
সেই পরম ধন?।
(তুমি)কোন রূপেতে পাবে তারে।
নিরাকার সাঁই নিরাঞ্জণ
কোন সাধনে মিলবে রে
সেই পরম ধন।।
যদি মক্কায় যেয়ে খোদা মিলতো,
শিব মিলতো কাশীতে,
বৃন্দাবনে কৃষ্ণ মিলতো,
কেউ আসতো না দেশেতে রে,
কেউ আসতো না দেশেতে।
(শুনেছি)জাহেরে বাতনে মওলা,
ভক্ত নিয়ে করে খেলা।
কোন রূপে তার নিত্য লীলা,
কে পেল তার দরশন?
কোন সাধনে মিলবে রে
সেই পরম ধন?।
যদি ভোগ দিলে ভগবান মিলতো,
খোদা মিলতো শিন্নিতে,
বড় করে ভোগ লাগাইয়ে,
বাদশাহায় পারতো কিনিতে রে,
বাদশাহায় পারতো কিনিতে।
(সে যে)কোন মোকামে থাকে বদ্ধ,
কি ধন দিলে হয় রে বাধ্য।
যে বস্তু তার প্রিয় খাদ্য,
করছো নি তার আয়োজন।
কোন সাধনে মিলবে রে
সেই পরম ধন?।
আবার মন্ডপেতে মূর্তি গড়ে,
ধ্যান করো মনে-মনে,
আসমানেতে হাত তুলিয়া,
সেজদা করো জমিনে রে,
সেজদা করো জমিনে।
(তুমি)দেখ নাই যার মূরতি,
তার সনে কি হয় পীড়িতি।
এই বল্লভের পাগলা গীতি,
বুঝবে শুধু পাগল জন।
কোন সাধনে মিলবে রে
সেই পরম ধন?।।
কোন রূপেতে পাবে তারে।
নিরাকার সাঁই নিরাঞ্জণ
কোন সাধনে মিলবে রে
সেই পরম ধন।।
চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি
চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি
ভেদ-পরিচয় দেয় না আমায়
ঐ খেদে ঝরে আঁখি
আমার ঐ খেদে ঝরে আঁখি।।
পাখি বুলি বলে শুনতে পাই
রূপ কেমন তা দেখিনা ভাই
বিষম ঘোর দেখি।
আমি বিষম ঘোর দেখি।
কোন দিন জানি উড়ে যাবে
ধুলো দিয়ে দুই চোখই।।
পোষা পাখি চিনলাম না
এ লজ্জা তো যাবে না উপায় কি করি
আমি উপায় কি করি।।
চিনাল পেলে চিনে নিতাম
যেতো মনের ধুকধুকি।।
আছে নয় দরজা খাঁচাতে
যায় আসে পাখি কোন পথে
চোখে দিয়ে রে ভেল্কি
আমার দিয়ে রে ভেল্কি।
সিরাজ সাঁই কয়
বয় লালন বয়
ফাঁদ পেতে রে সিঁদমুখী।।
আরও পড়ুন: