Site icon Folk Gurukul [ লোকগান গুরুকুল ] GOLN

রজ্জব দেওয়ানের গান

রজ্জব দেওয়ানের গান

রজ্জব দেওয়ানের গান

রজ্জব দেওয়ানের গান নিয়ে আজকের আয়োজন।ইংরেজী ১৯০৬, বাংলা ১৩১৩ এবং হিজরী ১৩২৭ রজব মাসের ২১ তারিখে ঢাকা জেলার অন্তর্গত মানিকগঞ্জ থানার চরচন পাড়া গ্রামে বাংলার বিখ্যাত মরমী সাধক দেওয়ান শাহ্‌   রজ্জব আলী চিশতী নিজামি জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম জহুর আলী দেওয়ান। শৈশবকাল হতে গান বাজনার প্রতি তার বিশেষ ঝোঁক ছিল। পিতার ঐকান্তিক উৎসাহে গান বাজনার প্রতি তার আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। তাই পল্লীর পরিবেশের মধ্যে তার বয়স যখন দ্বাদশ বর্ষে পদার্পণ করে তখন থেকেই তিনি উৎফল্ল চিত্তে গান গাওয়া আরম্ভ করেন।ন সেটাও তাকে অল্প দিনের মধ্যে কাটিয়ে উঠতে হয় এবং আবার পূর্ণ উদ্যমে গান বাজনা শুরু করেন।

 

 

রজ্জব দেওয়ানের গানঃ

রজ্জব আলী দেওয়ান বাংলা দেশের একজন গুনি বেক্তিত্য রজ্জব আলী দেওয়ান তার জিবনে বাউল গান নিয়ে স্বাধনা করেছেন তার অগনিত গানের বই রেখে গেছেন জেই বই গুলো গ্যানের ভান্ডার রজ্জব আলী

দেওয়ানের জনপ্রিয় অনেক গান আছে জেমন তুই আমারে করলি পাগল আমার সকল নিয়ারে আষাতে বন্চিত রে হইলাম তোর বিরহে পুইরা অংগ হইয়াছে আংগারা গো আমি শত জন্মের অপরাধি তোমার চরনে ইত্যাদি অনেক গান রয়েছে। ১৯৬৬ সাল এর মার্চ মাস থেকে গান লেখা শুরু করেন। তাঁর মুর্শিদের

মেহেরবানিতে ঐ বছরই মারফতী ও পল্লিগীতির আসরে রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা অফিসে গান গাওয়ার সুযোগ লাভ করেন। তাছাড়া ঐ বছরই হিজ মাস্টার রেকর্ড কোম্পানির মাধ্যমে গানের রেকর্ড বের হয়।

 

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুন

 হে বারে খোদা মোর ফরিয়াদ তব দরবারে

হে বারে খোদা মোর ফরিয়াদ তব দরবারে।
করিয়না কুপথগামী, সুপথ সদায় দেখাও মোরে।।

পড়িতে এই পাঞ্জেগানা,হতভাগার মন চলে না
সদায় আমার এই পার্থনা, আছ যদি হৃদয় পুরে।।

থাক যদি মাখামাখি, তবে কেন এত ডাকি
ফুটাইয়া দাও জ্ঞানের আঁখি,সোজা রাস্তা দেদেখাও মোরে।।

ভালো*মন্দ তোমার কৃপায়, দোযখ-বেহেস্ত তুমি তথায়
যথায় ইচ্ছা রাখ তথায়,ভয় কি আছে থাকতে ঘরে।।

আমার বলতে আমি তো নাই, সকল ধর্মে বলিছে তাই
রজ্জব কয় আর কোন ভয় নাই,বিশ্বব্যাপী আছ জুড়ে।।

খাতুনে জান্নাত মাতা ফাতেমা আমার

খাতুনে জান্নাত মাতা ফাতেমা আমার
এ বিশ্ব জগত মাগো করিবে উদ্ধার।।

তুমি নবীর নন্দিনী, এই জগৎ তরাবে বলে কোরআনে শুনি
ভব সিন্ধু পারের বেলা,তরনী আমার।।

শুনি হাশরের দিনে, নেকি বদীর ওজন হবে তলে মিজানে
এই পাপী উম্মতের জন্য, কাঁদিবে হাজার।

দোযখের দ্বারে,কাঁদিয়া বলিবে সেই দিন,দোযখ দাও মোরে,
তবু না দিব দোযখ পুত্রগণ আমার।।

পাপী রজ্জবে ডাকে, দুগ্ধ দিয়েছ মা যদি তোমারই বুকে
আমি কি শুধিতে পারি, তোমার দুধের ধার।।

 

রাত্রি শেষে ভোরে এমন কে গাহিল গান।

রাত্রি শেষে ভোরে এমন কে গাহিল গান।
কোকিলের মধুর সুরে আকুল করে প্রাণ।।

কোকিল ডেকেছে ডালে, কূল বধু যাচ্ছে জলে
মিনারে উঠে বিল্লাল,ফুকিল আজান।

ফুটেছে ফুল নানা জাতি, শেফালিকা আর মালতী,
কাল ঘুমে তোর হলো ক্ষতি, নিলে কই সুঘ্রাণ।

পশু পাখি ছিল যত,ঘুম হতে জাগ্রত
তুই কেন মন অবিরত রহিলি পাষাণ।।

এ দিন যদি যায়রে হেলায়, কাঁদলে কি হয় শেষের বেলায়,
দেওয়ান রজ্জবের এ অসময় নিশি অবসান।।

 

হৃদয় খুলে ও মমিন ভাই, নেওরে মধুর না

হৃদয় খুলে ও মমিন ভাই, নেওরে মধুর নাম।
এই নাম তোমার হবে সাথী হাশরের মোকাম।

সামনে তোমার বিপদ ভয়ঙ্কর,
পুলছেরাতের কঠিন পাড়ি বাহাত্তুর বছর
এই নাম তোমার হবে ছওর
স্বাক্ষী আছে খোদার কালাম।।

নবিজী তোর হবে জামিরদার,
মা ফাতেমা বন্ধ করে দিবেন দোযখের দ্বার
পলকেতে হবেরে পাড়,
উড়াইয়া তার নামের নিশান।

ঐ নামেতে কত মধু রয়,
নবীর নাম হৃদয় মাঝে সেইতো মমিন হয়,
ভাবিয়া তাই রজ্জবে কয়
নাম নিয়ে মোর যায় যেন প্রাণ।।

কে যাবে মদিনার পথে, দয়াল নবীর রওয়াজায়

কে যাবে মদিনার পথে, দয়াল নবীর রওয়াজায়।
যথায় চির সুখে ঘুমায়ে আছেন, দ্বীনের নবী মোস্তফায়।
(নবীর) আকুল প্রাণ অঝর নয়নে, চাহিয়া উম্মতের পানে
ভাবিয়া সে আপন মনে, তৌহিদের বাণী শুনায়।

এই জগত তরাবে বলে, ঘরে ঘরে নাম বিলালে,
সেই নামে যার মন মজিলে, পলকে সে ত্বরে যায়।।

দেখাইতে তার রূপের জ্যোতি, সদায় কয় ইয়া উম্মতি
উম্মতের দেখে দুর্গতি, চক্ষের জলে বুক ভাসায়।।

আক্কাস দেখিবে বলে, নবীর কাছে গেল চলে,
দয়াল নবীর দয়ার বলে,মোহর নবুয়ত দেখায়।।

রজ্জবের এই বাসনা, যাইতো মক্কা মদিনায়
মায়া রৃণে হয়ে দেনা, দিন গেল আশায় আশায়।।

ওরে নিশি তুমি কেন নিষ্ঠুর সাজিলে

ওরে নিশি তুমি কেন নিষ্ঠুর সাজিলে
এ বিশ্ব রাখিয়ে ঘুমে কোথায় চলিলে।।

তুমি ছিলে কোথায়, যাবে কোথায়, কোথায় হতে এলে হেথায়
যাও কি তুমি সেই মদিনায়, যেথায় রাসুল।

যাও কি তুমি নবীর দেশে, সারা বিশ্ব যার উদ্দেশ্যে
মোর ছালাম কইও তাঁর কাছে, অভাগা বলে।।

শোন ওগো সুখের নিশি, তোমায় বড় ভালোবাসি
তোমায় নিয়ে দিবা নিশি, থাকতাম নিরলে।

এই নিশিতে সুযোগ পাইয়া, মেরাজেতে যায় চলিয়া
দিদার পাইল তোমায় নিয়া, তোমারই কোলে।

(খোদার) আঠারো হাজার আলম, ঘুমে আজ রয়েছে মগন
তাই রজ্জবে কয় চল এখন,সাধন নিরলে।।

 

 

আরও পড়ুনঃ

 

 

 

 

 

Exit mobile version