শুদ্ধ প্রেম না দিলে ভজে কে তারে পায়-লালন শাহ

লালন শাহ এর গান  শুদ্ধ প্রেম না দিলে ভজে কে তারে পায়- আজকের আয়োজন

শুদ্ধ প্রেম না দিলে ভজে কে তারে পায়

 

শুদ্ধ প্রেম না দিলে ভজে কে তারে পায়-লালন শাহ

শুদ্ধ প্রেম না দিলে ভজে কে তারে পায়

না মানে আচার, না মানে বিচার

শুদ্ধ রসের রসিক সেই দয়াময় ॥

জান না মন শুকনা কাষ্ঠে

কবে তার মালঞ্চ ফোটে

তেমনি প্রেম নাই যার চিত্তে

এমনি কাষ্ঠে সে

নিজ সুখের জন্য পরপুত্র

বলিদান দেয় ॥

সেই প্রেমের এমনি ধারা

ফণী যেমন মণিহারা

দেখলে তার মুখ, হৃদয়ে বাড়ে সুখ

দয়ালচাঁদ তার থাকে সহায় ॥

যোগীন্দ্র মণীন্দ্ৰ আদি

যোগ সেধে না পায় নিধি

শুদ্ধ প্রেম দিয়ে, এবার ভজ গোপীরে

লালন বলে সে প্রেম কি আজ ঘটবে আমায় ॥

শুদ্ধ প্রেম না দিলে ভজে কে তারে পায়-লালন শাহ

 

লালনের মৃত্যু

লালন ১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর প্রায় একমাস পূর্ব থেকে তিনি পেটের সমস্যা ও হাত পায়ের গ্রন্থির সমস্যায় ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতেন না। এসময় তিনি মাছ খেতে চাইতেন।

মৃত্যুর দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত তিনি গান-বাজনা করেন এবং এক সময় তার শিষ্যদের বলেন, “আমি চলিলাম”, এবং এর কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়। তার নির্দেশ বা ইচ্ছা না থাকায় তার মৃত্যুর পর হিন্দু বা মুসলমান কোনো ধরনের ধর্মীয় রীতি নীতিই পালন করা হয় নি। তারই উপদেশ অনুসারে ছেউড়িয়ায় তার আখড়ার মধ্যে একটি ঘরের ভিতর তার সমাধি গড়ে তোলা হয়।

 

শুদ্ধ প্রেম না দিলে ভজে কে তারে পায়-লালন শাহ

 

আজও সারা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাউলেরা অক্টোবর মাসে ছেউড়িয়ায় মিলিত হয়ে লালনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তার মৃত্যুর ১২ দিন পর তৎকালীন পাক্ষিক পত্রিকা মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত হিতকরী-তে প্রকাশিত একটি রচনায় সর্বপ্রথম তাঁকে ‘মহাত্মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। রচনার লেখকের নাম রাইচরণ।

আরও দেখুন :

শুদ্ধ প্রেম না দিলে ভজে কে তারে পায়-লালন শাহ

 

Leave a Comment