লালন শাহ এর গান করিয়ে বিবির নিহার রসুল আমার -নিয়ে আজকের আয়োজন।
Table of Contents
করিয়ে বিবির নিহার রসুল আমার
করিয়ে বিবির নিহার রসুল আমার
কৈ ভুলেছেন রাব্বানা
জাত ছিপাতে মিশে আছে, দুস্তি করেছে
কেউ কাহারে ভুলতে পারে না ॥
খুদি তুই মর্মকথা, পাবি কোথা
কৈ করেছে নবি চৌদ্দ নিকা।
চৌদ্দ ভুবনের পতি, চৌদ্দ বিবি
করেছে দেখ তার নমুনা ॥
ছিপাতে এসে নবি, তিনজন বিবি
সুসন্তানের হয়েছে মা;
আলেফ লাম মিমে দেখ না, ও দিন-কানা
তিনে নবি সৈয়াদেনা ॥
আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজ লয়ে
সাত সমুদ্রের খবর জানা
না পেয়ে তার আদি-অন্ত হয়ে শ্রান্ত
বসে আছে কতজনা ॥
লালন কয় বুঝবার ভুল করে কবুল
দেখ না নবি ছাল্লেয়ালা
আগমে নিগুম যিনি গুণমণি
তার সাথে আর কার তুলনা ॥

লালনের মৃত্যু
লালন শাহের মাজারের সম্মুখে শিষ্যদের কবরলালন ১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর প্রায় একমাস পূর্ব থেকে তিনি পেটের সমস্যা ও হাত পায়ের গ্রন্থির সমস্যায় ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতেন না। এসময় তিনি মাছ খেতে চাইতেন। মৃত্যুর দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত তিনি গান-বাজনা করেন এবং এক সময় তার শিষ্যদের বলেন, “আমি চলিলাম”, এবং এর কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়।
তার নির্দেশ বা ইচ্ছা না থাকায় তার মৃত্যুর পর হিন্দু বা মুসলমান কোনো ধরনের ধর্মীয় রীতি নীতিই পালন করা হয় নি। তারই উপদেশ অনুসারে ছেউড়িয়ায় তার আখড়ার মধ্যে একটি ঘরের ভিতর তার সমাধি গড়ে তোলা হয়।আজও সারা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাউলেরা অক্টোবর মাসে ছেউড়িয়ায় মিলিত হয়ে লালনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
তার মৃত্যুর ১২ দিন পর তৎকালীন পাক্ষিক পত্রিকা মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত হিতকরী-তে প্রকাশিত সর্বপ্রথম তাঁকে ‘মহাত্মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। রচনার লেখকের নাম রাইচরণ।
আরও দেখুন :