লালন শাহ এর গান কোন রসে কোন রতির খেলা, জানতে হয় এই বেলা- নিয়ে আজকের আয়োজন।
Table of Contents
কোন রসে কোন রতির খেলা, জানতে হয় এই বেলা
কোন রসে কোন রতির খেলা, জানতে হয় এই বেলা।
তিন রস সাড়ে তিনরতি, বিভাগে করে স্থিতি
গুরুঠাই জেনে পাতি; সাধন করে নিরালা ।
তখন মানুষ জনম সফল হবে
এড়াবে শমন জ্বালা ॥
সাড়ে তিন রতি বটে, লেখা যায় শাস্ত্রপাটে
সাধকের মূল তিন রস ঘটে; তিনশো ষাট রসের বালা।
জানিলে সেই রসের ভিয়ান
রসিক তারে যায় বলা ॥
রসরতির নাই বিচক্ষণ; আন্দাজি কি হয় রে সাধন
কিসে হয় প্রাপ্তি সাধন মেটে না মনের ঘোলা
উজান কি ভেটেনে পড়ি,
ত্রিবেণীর ত্রি-নালা ॥
শুদ্ধ নস রসিক হলে, রসরতি উজান চলে
ভিয়ানে সিদ্ধি ফলে, অমৃত মিছরী উলা
লালন বলে এবার আমার
শুধু জল তোলা ফেলা ॥

লালনের বিতর্ক ও সমালোচনা
সাম্প্রদায়িক ধর্মবাদীরা লালনের অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তার সর্বাধিক সমালোচনা করে থাকে। লালন তার জীবদ্দশায় নিজের ধর্ম পরিচয় কারও কাছে প্রকাশ করেন নি। তার ধর্মবিশ্বাস আজও একটি বিতর্কিত বিষয়। লালনের অসাম্প্রদায়িকতা, লিঙ্গ বৈষম্যের বিরোধিতা ইত্যাদির কারণে তাকে তার জীবদ্দশায় ধর্মান্ধ এবং মৌলবাদী হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের ঘৃণা, বঞ্চনার এবং আক্রমণের শিকার হতে হয়।
এছাড়া তার ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদী দর্শন এবং ঈশ্বর, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে তার উত্থাপিত নানান প্রশ্নের কারণে অনেক ধর্মবাদী তাকে নাস্তিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন।এছাড়াও তার জীবদ্দশায় তৎকালীন সমাজের দাবি ছিল তিনি তার আখড়ায় সাধক সঙ্গিনী বা সেবাদাসী রূপে একটি প্রথা চালু করেছিলেন। যার ফলে হিন্দু মুসলমান নারী-পুরুষের বিবাহ বা বিবাহবহির্ভূত যৌনাচার সংঘটিত হতো। এছাড়াও আখড়ায় মাদকসেবনের জন্যও তিনি ও তার শিষ্যগণ সমালোচিত হয়েছিলেন।
আরও দেখুন :