রসের রসিক না হলে কে গো জানতে পায়-লালন শাহ

লালন শাহ এর গান  রসের রসিক না হলে কে গো জানতে পায়- আজকের আয়োজন

রসের রসিক না হলে কে গো জানতে পায়

 

রসের রসিক না হলে কে গো জানতে পায়-লালন শাহ

 

রসের রসিক না হলে কে গো জানতে পায়।

কোথা সে অটলরূপ বারাম দেয় ৷

শূন্য ভরে শয্যা করে

পাতালপুরে

শয়ন দেয়;

অরসিক বেড়ায় ঘুরে

ঘোর ধাঁধায় ॥

মনচোরা চোর সেই যে নাগর

তলে আসে তলে যায় উপর উপর

খুঁজে জীব সবাই;

মাটি ছেড়ে লাফ দিয়ে উঠে

আসমানে গিয়ে হাত বাড়ায় ॥

পড়ে সে ফাঁকের ঘরে

শেষ খানায় তলে পরে তলে ধুঢ়ে

তবে সে ফল প্রাপ্ত হয়;

লালন কয় উঁচা মনের কার্য নয় ॥

রসের রসিক না হলে কে গো জানতে পায়-লালন শাহ

 

লালনের মৃত্যু

লালন ১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর প্রায় একমাস পূর্ব থেকে তিনি পেটের সমস্যা ও হাত পায়ের গ্রন্থির সমস্যায় ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতেন না। এসময় তিনি মাছ খেতে চাইতেন।

মৃত্যুর দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত তিনি গান-বাজনা করেন এবং এক সময় তার শিষ্যদের বলেন, “আমি চলিলাম”, এবং এর কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়। তার নির্দেশ বা ইচ্ছা না থাকায় তার মৃত্যুর পর হিন্দু বা মুসলমান কোনো ধরনের ধর্মীয় রীতি নীতিই পালন করা হয় নি। তারই উপদেশ অনুসারে ছেউড়িয়ায় তার আখড়ার মধ্যে একটি ঘরের ভিতর তার সমাধি গড়ে তোলা হয়।

 

রসের রসিক না হলে কে গো জানতে পায়-লালন শাহ

 

আজও সারা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাউলেরা অক্টোবর মাসে ছেউড়িয়ায় মিলিত হয়ে লালনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তার মৃত্যুর ১২ দিন পর তৎকালীন পাক্ষিক পত্রিকা মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত হিতকরী-তে প্রকাশিত একটি রচনায় সর্বপ্রথম তাঁকে ‘মহাত্মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। রচনার লেখকের নাম রাইচরণ।

আরও দেখুন :

রসের রসিক না হলে কে গো জানতে পায়-লালন শাহ

 

Leave a Comment