Site icon Folk Gurukul [ লোকগান গুরুকুল ] GOLN

ষড়-রসিক বিনে কেবা তারে চেনে যার নাম অধরা-লালন শাহ

ষড়-রসিক বিনে কেবা তারে চেনে যার নাম অধরা

লালন শাহ এর গান  ষড়-রসিক বিনে কেবা তারে চেনে যার নাম অধরা- আজকের আয়োজন

ষড়-রসিক বিনে কেবা তারে চেনে যার নাম অধরা

 

ষড়-রসিক বিনে কেবা তারে চেনে যার নাম অধরা।

শাক্ত-শৈব বুঝে, যেরূপে যে মজে বৈষ্ণবের বিষ্ণুরূপ নেহারা ॥

বলে সপ্ত পান্তির মত, সপ্তরূপ ব্যাখ্যিত

রসিকের মন নয় তাতে রত

রসিকের মন রসেতে মগন

রূপরস জানিয়ে খেলছে তারা ॥

হলে পঞ্চতত্ত্ব জ্ঞানী, পঞ্চরূপ বাখানি

রসিক বলে সেও তো নিলেন নিত্য গুণী

বেদ-বিধিতে যার, নীলের নাই প্রচার

নিগুম শহরে সাঁইজী মেরা ॥

যে জন ব্রহ্মজ্ঞানী হয়, সে কি জানতে পায়

না দেখে নাম ব্রহ্ম সার করে হৃদয়

রসিক স্বরূপ রূপদর্পণে, রূপ দেখে নয়নে

লালন বলে রসিক দীপ্তকারা ॥

 

লালনের মৃত্যু

লালন ১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর প্রায় একমাস পূর্ব থেকে তিনি পেটের সমস্যা ও হাত পায়ের গ্রন্থির সমস্যায় ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতেন না। এসময় তিনি মাছ খেতে চাইতেন।

মৃত্যুর দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত তিনি গান-বাজনা করেন এবং এক সময় তার শিষ্যদের বলেন, “আমি চলিলাম”, এবং এর কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়। তার নির্দেশ বা ইচ্ছা না থাকায় তার মৃত্যুর পর হিন্দু বা মুসলমান কোনো ধরনের ধর্মীয় রীতি নীতিই পালন করা হয় নি। তারই উপদেশ অনুসারে ছেউড়িয়ায় তার আখড়ার মধ্যে একটি ঘরের ভিতর তার সমাধি গড়ে তোলা হয়।

 

 

আজও সারা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাউলেরা অক্টোবর মাসে ছেউড়িয়ায় মিলিত হয়ে লালনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তার মৃত্যুর ১২ দিন পর তৎকালীন পাক্ষিক পত্রিকা মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত হিতকরী-তে প্রকাশিত একটি রচনায় সর্বপ্রথম তাঁকে ‘মহাত্মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। রচনার লেখকের নাম রাইচরণ।

আরও দেখুন :

ষড়-রসিক বিনে কেবা তারে চেনে যার নাম অধরা-লালন শাহ

Exit mobile version