লালন শাহ এর গান পড়ে ভূত আর হোস্ নে মনরায়- আজকের আয়োজন
Table of Contents
পড়ে ভূত আর হোস্ নে মনরায়
পড়ে ভূত আর হোস্ নে মনরায়।
কোন হরফে কী ভেদ আছে নিহাজ করে জানতে হয় ॥
আলেফ হে আর মিম দালেতে
আহাম্মদ নাম লিখা যায়
মিম হরফটি নফি করে
দেখ না খোদা কারে কয় ॥
আকার ছেড়ে নিরাকারে
ভজলি রে আঁধেলার প্রায়
আহাদে আহাম্মদ হলো
করলি নে তার পরিচয় ॥
জাতে ছেফাত ছেফাতে জাত
দরবেশে তায় জানিতে পায়
লালন বলে কেঠো মোল্লা
ভেদ না জেনে গোল বাধায় ॥
লালনের মৃত্যু
লালন ১৮৯০ সালের ১৭ই অক্টোবর লালন ১১৬ বছর বয়সে কুষ্টিয়ার কুমারখালির ছেউড়িয়াতে নিজ আখড়ায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর প্রায় একমাস পূর্ব থেকে তিনি পেটের সমস্যা ও হাত পায়ের গ্রন্থির সমস্যায় ভুগছিলেন। অসুস্থ অবস্থায় দুধ ছাড়া অন্য কিছু খেতেন না। এসময় তিনি মাছ খেতে চাইতেন।
মৃত্যুর দিন ভোর ৫টা পর্যন্ত তিনি গান-বাজনা করেন এবং এক সময় তার শিষ্যদের বলেন, “আমি চলিলাম”, এবং এর কিছু সময় পরই তার মৃত্যু হয়। তার নির্দেশ বা ইচ্ছা না থাকায় তার মৃত্যুর পর হিন্দু বা মুসলমান কোনো ধরনের ধর্মীয় রীতি নীতিই পালন করা হয় নি। তারই উপদেশ অনুসারে ছেউড়িয়ায় তার আখড়ার মধ্যে একটি ঘরের ভিতর তার সমাধি গড়ে তোলা হয়।
আজও সারা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাউলেরা অক্টোবর মাসে ছেউড়িয়ায় মিলিত হয়ে লালনের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করে। তার মৃত্যুর ১২ দিন পর তৎকালীন পাক্ষিক পত্রিকা মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত হিতকরী-তে প্রকাশিত একটি রচনায় সর্বপ্রথম তাঁকে ‘মহাত্মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। রচনার লেখকের নাম রাইচরণ।
আরও দেখুন :
পড়ে ভূত আর হোস্ নে মনরায়-লালন শাহ