মমতাজ বেগমের গান নিয়ে আজকের আয়োজন।মমতাজ বেগম ৫ মে ১৯৭৪ সালে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। মমতাজের মা উজালা বেগম, বাবা মধু বয়াতি ছিলেন বাউল শিল্পী। মমতাজ বেগমের দুই ভাই রয়েছে। মমতাজ প্রথম জীবনে বাবা মধু বয়াতি, পরে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান এবং শেষে লোক গানের শিক্ষক আবদুর রশীদ সরকারের কাছে গান শেখেন।
Table of Contents
মমতাজ বেগমের গানঃ
দুই দশকের বেশি তার পেশাদারী সংগীত জীবনে ৭০০টির বেশি একক অ্যালবাম প্রকাশ পায়। লোক গানের শিক্ষক আব্দুর রশীদ সরকারের সাথে তার বিবাহ হয়। প্রথম জীবনে বাবা মধু বয়াতি, পরে মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান এবং শেষে আব্দুর রশীদ সরকারের কাছে গান শেখেন।
মমতাজ সারাদেশে বিভিন্ন সংগীতানুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। তাছাড়া তিনি যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের অনেক দেশেই সংগীত অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন এবং তার গান ব্যাপকভাবে সমাদৃত। বাংলা সংস্কৃতির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশেষত বাংলা নববর্ষের বৈশাখি মেলায় তার গান জনপ্রিয়।
আগে যদি জানতাম রে বন্ধু
আগে যদি জানতাম রে বন্ধু
তুমি হইবা পর
ছাড়িতাম কি বাড়ি আমার
ছাড়িতাম না ঘর
উজানে ভাসাইলাম নাও
ভাটি কোথাও নাই
আমি আমার ছিলাম নাকি
তুমি কোথাও না
পীরিতে সাজায়েছি রঙ
বাসরে বাঁশি
সুরে সুরে সুরমালা
ভিতরে ফাঁকি
আগে যদি জানতাম রে বন্ধু
তুমি হইবা পর
ছাড়িতাম কি বাড়ি আমার
ছাড়িতাম না ঘর
দোয়েল পাখি কন্যা রে
নতুন ঘরে যায়, আয় দেইখা যা
নতুন ঘরে যায়, আয় দেইখা যা
মায়াবতী কন্যা রে, শালুক ফোটা ফুল রে,
রসগোল্লার মতো মিষ্টি কন্যার হাসি রে
আয় দেইখা যা
আয় দেইখা যা
দোয়েল পাখি কন্যা রে, লাউয়ের ডগা হাত রে,
আতা গাছে তোতা গান গায় তারে দেইখা রে
আয় শুইনা যা
আয় দেইখা যা
ও কচি কলাপাতা নরম তার, হলুদ মাখা গায়,
ও সুন্দরী কন্যা আইজ আমগো নতুন ঘরে যায়,
আয় দেইখা যা
নতুন ঘরে যায়, আয় দেইখা যা
জানি না জীবন কখন কোথায় লইয়া যায় রে,
শুধু চাই আমগো কন্যা যেনো সুখী হয় রে
যেনো ব্যথা না লাগে তার শিমুল তুলা মনে
কোনো মন্দ হাওয়া যেন না লাগে তাহার অঙ্গে,
অঙ্গ দোয়া নিয়া যা,
যা নিয়া যা
আমার দু’চোখের মনি যে নিয়া যায় রে,
সে জানি সারাজীবন তারে দেইখা রাখে।
হাতে মেহেদী লাগায়, সাথে আলতা রাঙা পায়,
ও সুন্দরী কন্যা আইজ আমগো
নতুন ঘরে যায়
আয় দেইখা যা
নতুন ঘরে যায়, আয় দেইখা যা
লোকাল বাস
নিজের ভাল বুঝিসরে তুই,
পথে পথে ঘুরিসরে তুই,
আমানতের খেয়ানত
কইরা করসরে সর্বনাশ
আমি কান্দি তোর দুখে,
তুই ঘুরস মনের সুখে,
কার দিকে নজর দিয়া
আমারে হাইকোর্ট দেখাস?
দিলি কাঠের চশমা চোখে,
দেখি শইর্ষা এখন শোকে
শুধু ডানে-বামে ঘুইরা ঘুইরা
হইছে ফাঁপরবাজ।
বন্ধু তুই লোকাল বাস
বন্ধু তুই লোকাল বাস
আদর কইরা ঘরে তুলস
ঘাড় ধইরা নামাস……
ক তুই কই যাবি?
গাড়ি তোর, আমার চাবি
মিটাইয়া মনের দাবি
পরে কইস হাবি-জাবি।
যেমনে চাস অমনে পাবি
কইবি আমি কারিগর
খাওয়ার দাওয়ার শেষ
বাড়ি ঘর খালি কর।
তোর কথা জানি তো
সবাই তো স্বার্থপর
মনেতে রঙ লাগাইয়া
হইয়া ঘুরস যাযাবর।
স্বার্থের পট্টি বাইন্ধা
কানামাছি ভোঁ ভোঁ
পাগলেও বুঝে এখন
টাঁকা পয়সার লোভও।
পাঙ্খা ভাবে থাকি
আগুনের গোলা পোলা
আশায় থাক কবে খাবি
মনে মনে মণ কলা।
চোরের মার বড় গলা
লইয়া লবি যারে তারে
সেনাপতি তেলের ভারে
নরম পাইয়া ব্রেক মারে।
মুনাফিক যারা,
পরে না মাটিতে পারা,
রক্ত চুইসা খাইয়া
উপরে উঠসে যারা
ওগো দুনিয়ায় ভোগে আছে
দুনিয়ার শাস্তি।
ওস্তাদ বুইঝা শুইনা
ডানে-বামে প্লাস্টিক।
ও তুই মনের কথা বুঝলি না
আমারেও গুনলি না
জনে জনে একই প্রেম তুই কতবার বিলাশ
(কতবার বিলাশ রে বন্ধু কতবার বিলাশ)
ও তুই বুঝলি যখন ফায়দারে,
ডাকলি না সেই আদরে,
ষোল আনা বুইঝারে,
তুই অন্যদিকে চাস।
দিলি জ্বালা বাড়াইয়া বুকে,
দেখি না চেহারা সুখে।
সে যে অলি-গলি ধরা খাইয়া,
হইসে ধান্দাবাজ
বন্ধু তুই লোকাল বাস
বন্ধু তুই লোকাল বাস
আদর কইরা ঘরে তুলস
ঘাড় ধইরা নামাস……
না জানি কোন অপরাধে
না জানি কোন অপরাধে, দিলা এমন জীবন
আমারে পুড়াইতে তোমার, এতো আয়োজন
আমারে ডুবাইতে তোমার, এতো আয়োজন
সুখে থাকার স্বপ্ন দিলা, সুখ তো দিলা না
কত সুখে আছি বেঁচে, খবর নিলা না
বিধি, খবর নিলা না
আমি ছাড়া কেউ নাই আমার, দুঃখের পরিজন
আমারে পুড়াইতে তোমার, এতো আয়োজন
আমারে ডুবাইতে তোমার, এতো আয়োজন
মায়াঘেরা ভবের মাঝে, আমায় কইরা বন্দী
জানি না কি করছো উদ্দেশ, কি বা করছো ফন্দী
কি বা করছো ফন্দী
আমি ছাড়া কেউ নাই আমার, দুঃখের পরিজন
আমারে পুড়াইতে তোমার, এতো আয়োজন
আমারে ডুবাইতে তোমার, এতো আয়োজন
আমি তোমার লাগি পাঙ্খা
আমি তোমার লাগি পাঙ্খা হইয়া পাঙ্খা হইল মন
এখন মনের পাঙ্খা ঘুরে নাতো খুঁজে বেড়ায় বন
আমি তোমার লাগি পাঙ্খা হইয়া পাঙ্খা হইল মন
এখন মনের পাঙ্খা ঘুরে নাতো খুঁজে বেড়ায় বন
মনেতে ঘুরে ঘুরে আমারই অন্তরে
প্রেমেরি আখাঙ্কা
ও পাঙ্খা
পাঙ্খা পাঙ্খা পাঙ্খা
পাঙ্খা পাঙ্খা হইল মন
এখন মনের পাঙ্খা ঘুরে নাতো খুঁজে বেড়ায় বন
তাই পাঙ্খা পাঙ্খা পাঙ্খা পাঙ্খা হইল মন
এখন মনের পাঙ্খা ঘুরে নাতো খুঁজে বেড়ায় বন
সন্ন্যাসী হইয়া আমি পাঙ্খার মত ঘুড়ি
তুমি মিঠা কথায় আমারবুকে মারলা বিষের ছুড়ি
আরে সন্ন্যাসী হইয়া আমি পাঙ্খার মত ঘুড়ি
তুমি মিঠা কথায় আমারবুকে মারলা বিষের ছুড়ি
মনেতে ঘুরে ঘুরে আমার এ
অন্তরে প্রেমেরি আখাঙ্কা
ও পাঙ্খা
পাঙ্খা পাঙ্খা পাঙ্খাপাঙ্খা পাঙ্খা হইল মন
এখন মনের পাঙ্খা ঘুরে নাতো খুঁজে বেড়ায় বন
হায়রে পাঙ্খা পাঙ্খা পাঙ্খা
পাঙ্খা পাঙ্খা হইল মন
এখন মনের পাঙ্খা খুঁজেনাতো খুঁজে বেড়ায় বন
কেমন করে এত নিঠুর হইল তোমার মন
তুমি মনটা আমার ভাইঙ্গা দিলা কইরা আয়োজন
আরে কেমন করে এত নিঠুর হইল তোমার মন
তুমি মনটা আমার ভাইঙ্গা দিলা কইরা আয়োজন
মনেতে ঘুরে ঘুরে আমার এ
অন্তরে প্রেমেরি আখাঙ্কা
ও পাঙ্খা
তোমার লাগি পাঙ্খা হইয়া পাঙ্খা হইল মন
এখন মনের পাঙ্খা ঘুরে নাতো খুঁজে বেড়ায় বন
আমি তোমার লাগি পাঙ্খা হইয়া পাঙ্খা হইল মন
এখন মনের পাঙ্খা ঘুরে নাতো খুঁজে বেড়ায় বন
মনেতে ঘুরে ঘুরে আমার এ অন্তরে
প্রেমেরি আখাঙ্কা
ও পাঙ্খা
পাঙ্খা পাঙ্খা পাঙ্খাপাঙ্খা পাঙ্খা হইল মন
এখন মনের পাঙ্খা ঘুরে নাতো খুঁজে বেড়ায় বন
হায় পাঙ্খা পাঙ্খা পাঙ্খা পাঙ্খা হইল মন
এখন মনের পাঙ্খা ঘুরে নাতো খুঁজে বেড়ায় বন