ও গো বিন্দে ললিতে-লালন শাহ

লালন শাহ এর গান ও গো বিন্দে ললিতে   – নিয়ে আজকের আয়োজন।

ও গো বিন্দে ললিতে

 

ও গো ব্ৰজ নীলে একি নীলে-লালন শাহ

 

ও গো বিন্দে ললিতে।

আমি কৃষ্ণহারা হলাম এ জগতে ॥

ও সখিরে চল আমরা বনে যাই 

বন্ধুর দেখা নাই

বৃন্দাবন আছে কত দূরে;

ছাড়িয়া ভাবের মায়া দেহ করিলাম পদছায়া

 ললিতে তার পায়ের ধ্বনি শুনিতে ॥

আগে সখি, পাছে সখি

শত সখি দেখি 

সব সখিরে কর্ণে সোনা রে;

নদীর কূলে বাজায় বাঁশি, কপালী তিল তোরসী

রাধিকার বন্ধু হয় কোন জনাতে ॥

বনেরও পশু যারা

আমার থেকে ভাল তারা

সঙ্গে লয়ে থাকে আপন পতিরে;

তারা পতির সঙ্গে করে আহার, পতির সঙ্গে করে বিহার

 লালন বলে মজে থাকে আপনার পিরিতে ॥

শাহ আবদুল করিমের গান
আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুনলা

লালনের বিশ্ব সাহিত্যে প্রভাব

লালনের শিষ্য ভোলাই শাহের হাতে লেখা লালনের নাম। ঊনবিংশ শতকের শুরুর দিকে অপ্রচলিত বাংলা অক্ষরে লেখা।

লালনের গান ও দর্শনের দ্বারা অনেক বিশ্বখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক প্রভাবিত হয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ লালনের মৃত্যুর ২ বছর পর তার আখড়া বাড়িতে যান এবং লালনের দর্শনে প্রভাবিত হয়ে ১৫০টি গান রচনা করেন। তার বিভিন্ন বক্তৃতা ও রচনায় তিনি লালনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন।

লালনের মানবতাবাদী দর্শনে প্রভাবিত হয়েছেন সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মার্কিন কবি এলেন গিন্সবার্গ লালনের দর্শনে প্রভাবিত হন এবং তার রচনাবলিতেও লালনের রচনাশৈলীর অনুকরণ দেখা যায়। তিনি আফটার লালন নামে একটি কবিতাও রচনা করেন।লালনের সংগীত ও ধর্ম-দর্শন নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা গবেষণা হয়েছে ও হচ্ছে। ১৯৬৩ ছেউড়িয়ায় আখড়া বাড়ি ঘিরে লালন লোকসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

 

ও গো বিন্দে ললিতে-লালন শাহ

 

এরপর লালন লোকসাহিত্য কেন্দ্রের বিলুপ্তি ঘটিয়ে ১৯৭৮ সালে শিল্পকলা একাডেমীর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় লালন একাডেমী।তার মৃত্যুদিবসে ছেউড়িয়ার আখড়ায় স্মরণ উৎসব হয়। দেশ-বিদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অসংখ্য মানুষ লালন স্মরণোৎসব ও দোল পূর্ণিমায় এই আধ্যাত্মিক সাধকের দর্শন অনুস্মরণ করতে প্রতি বছর এখানে এসে থাকেন। ২০১০ সাল থেকে এখানে পাঁচ দিনব্যাপী উৎসব হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানটি “লালন উৎসব” হিসেবে পরিচিত। ২০১২ সালে এখানে ১২২তম লালন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

আরও দেখুন :

ও গো বিন্দে ললিতে-লালন শাহ

Leave a Comment