Site icon Folk Gurukul [ লোকগান গুরুকুল ] GOLN

কতদিন আর রইবি রঙ্গে-লালন শাহ

কতদিন আর রইবি রঙ্গে

লালন শাহ এর গান কতদিন আর রইবি রঙ্গে-নিয়ে আজকের আয়োজন।

কতদিন আর রইবি রঙ্গে

 

 

কতদিন আর রইবি রঙ্গে। 

বাড়িতেছে বেলা ধর এই বেলা

 যদি বাঁচতে চাও তরঙ্গে ॥

নিকটে বিকটে বেশেতে শমন

 দাঁড়াইয়া আছে হরিতে জীবন

 মানিবে না কারে, কেশে ধরে তোরে

লয়ে যাবে সে জন আপন সঙ্গে ॥

দারা-সূত-আদি যত প্রিয়জন 

বক্ষমাঝে যাদের রাখ সর্বক্ষণ

আমার আমার, বল বারেবার

তখনি হেরিবে না কেহ অপাঙ্গে ॥

অতএব শোন থাকিতে জীবন

কর অন্বেষণ পতিতপাবন

 সিরাজ সাঁই কয় লালন, অধম তারণ

বাঁচো এখন পাপ আতঙ্কে ॥

আমাদের গুগল নিউজে ফলো করুনলা

 লালনের বিশ্ব সাহিত্যে প্রভাব

লালনের শিষ্য ভোলাই শাহের হাতে লেখা লালনের নাম। ঊনবিংশ শতকের শুরুর দিকে অপ্রচলিত বাংলা অক্ষরে লেখা।

লালনের গান ও দর্শনের দ্বারা অনেক বিশ্বখ্যাত কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক প্রভাবিত হয়েছেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ লালনের মৃত্যুর ২ বছর পর তার আখড়া বাড়িতে যান এবং লালনের দর্শনে প্রভাবিত হয়ে ১৫০টি গান রচনা করেনl তার বিভিন্ন বক্তৃতা ও রচনায় তিনি লালনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন।

লালনের মানবতাবাদী দর্শনে প্রভাবিত হয়েছেন সাম্যবাদী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। মার্কিন কবি এলেন গিন্সবার্গ লালনের দর্শনে প্রভাবিত হন এবং তার রচনাবলিতেও লালনের রচনাশৈলীর অনুকরণ দেখা যায়। তিনি আফটার লালন নামে একটি কবিতাও রচনা করেন।লালনের সংগীত ও ধর্ম-দর্শন নিয়ে দেশ-বিদেশে নানা গবেষণা হয়েছে ও হচ্ছে। ১৯৬৩ ছেউড়িয়ায় আখড়া বাড়ি ঘিরে লালন লোকসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর লালন লোকসাহিত্য কেন্দ্রের বিলুপ্তি ঘটিয়ে ১৯৭৮ সালে শিল্পকলা একাডেমীর অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় লালন একাডেমী।

 

তার মৃত্যুদিবসে ছেউড়িয়ার আখড়ায় স্মরণ উৎসব হয়। দেশ-বিদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে অসংখ্য মানুষ লালন স্মরণোৎসব ও দোল পূর্ণিমায় এই আধ্যাত্মিক সাধকের দর্শন অনুস্মরণ করতে প্রতি বছর এখানে এসে থাকেন। ২০১০ সাল থেকে এখানে পাঁচ দিনব্যাপী উৎসব হচ্ছে। এই অনুষ্ঠানটি “লালন উৎসব” হিসেবে পরিচিত। ২০১২ সালে এখানে ১২২তম লালন উৎসব অনুষ্ঠিত হয় l

আরও দেখুন :

কতদিন আর রইবি রঙ্গে-লালন শাহ

Exit mobile version